অধ্যক্ষের বাণী
উঠতি বয়সী একজন কিশোর বা কিশোরী যখন আর্থ-সামাজিক কিংবা পরিবারিক কারনে দিগভ্রান্ত হয়ে মাদক ও ভার্চুয়াল আসক্তির কবলে পড়ে দিশেহারা বোধ করে ঠিক তখনই দরকার হয় একজন দায়িত্বশীল, প্রীতিময় অথচ কঠোর অভিভাবকের। বর্তমান বাস্তবতায় সখিপুরের মতো একটি গ্রামীণ উপজেলার পরিবারগুলোতে এর অভাব আরও প্রকট। মুষ্ঠিমেয় সচেতন ও আর্থিকভাবে সক্ষম অভিভাবকের কথা বাদ দিলে অধিকাংশ অভিভাবকই সন্তানের দায়িত্ব পালনে অসচেতন কিংবা ক্ষেত্রবিশেষ অসমর্থ। যার ফলস্বরূপ বাড়ছে মাদকের আগ্রাসন, বাল্যবিবাহ, কিশোর অপরাধ, ইভটিজিং কিংবা ভার্চুয়াল ক্রাইমের মত ভয়াবহ বিষয়। এমন যখন পরিস্থিতি ঠিক তখনই সরকারি মুজিব কলেজ শিক্ষার্থীদের সঠিক বিকাশের লক্ষ্যে নতুন নতুন কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছে। কলেজে নিয়মিতকরণ, রুটিন অনুযায়ী প্রতিটি ক্লাস নিশ্চিতকরণ এর মধ্যে অন্যতম। শিক্ষার্থীদের একাডেমিক মানকে উন্নত ও সুদৃঢ় করতে কাউন্সিলিং করে একজন কাউন্সিলরের নিবিড় তত্ত্বাবধানে ২০ জন করে শিক্ষার্থীর শিক্ষা বিষয়ক অগ্রগতি পর্যালোচনা ও অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যাতে যততত্র ঘোরাঘুরি না করে সঠিক সময়ে পড়ার টেবিলে বসে সে লক্ষ্যে সচেতনতামূলক মাইকিং-এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমে বেসিক কম্পিউটার কোর্সসহ তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। এছাড়া সাহিত্য-সংস্কৃতি, রোভার স্কাউট ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা নিয়মিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা, প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট দক্ষতা বৃদ্ধি করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পরিচর্যার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অবিভাবকদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় আমাদের প্রিয় শিক্ষার্থী এমনভাবে গড়ে উঠবে যেন তারা সমাজের বৃহত্তর ক্ষেত্রে প্রতিভা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখতে পারে এমনটাই আমার প্রত্যাশা। প্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তথা সখিপুরের শিক্ষার মান উন্নত করতে সকলের সহযোগিতা ও সমর্থনও প্রত্যাশা করি।
প্রফেসর ড. ছদরুদ্দীন আহমদ
অধ্যক্ষ
সরকারি মুজিব কলেজ।